একটি প্রাচীন বটগাছের আত্মকথা

আমি এক প্রাচীন বটগাছ। এই বিশ্ব-ব্রহ্মান্তের প্রত্যেকটি জিনিসের জন্ম এবং বেড়ে ওঠার একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে। আমি আমার সেই ইতিহাসের কথাই তোমাদের বলব।
একটি প্রাচীন বটগাছের আত্মকথা

একটি প্রাচীন বটগাছের আত্মকথা

ভূমিকাঃ- আমি এক প্রাচীন বটগাছ। এই বিশ্ব-ব্রহ্মান্তের প্রত্যেকটি জিনিসের জন্ম এবং বেড়ে ওঠার একটা নিজস্ব ইতিহাস আছে। আমি আমার সেই ইতিহাসের কথাই তোমাদের বলব।

আমার কথাঃ- দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া অঞ্চলের ফাঁসিদেওয়া গ্রামের ঋষি রোডের কাছেই মা কালী মন্দিরের ধারে আমার অবস্থান, প্রবীণেরা বলেন একশো বছরেরও বেশি আমার বয়স। এখন আমার চারপাশে ঝুরি নেমেছে। সেগুলোই এক একটা গাছের চেহারা নিয়েছে। বয়সের ভারে জীর্ন এখন আমি, সময় এবং ইতিহাসের এক দীর্ঘ প্রবাহকে শরীরে মেখে দাঁড়িয়ে আছি আমি, কত রাজনীতি, কত মিছিল, কত পালা বদলের দৃশ্য আমি চোখের সামনে দেখেছি।

আমার বর্তমানঃ- আগে আমার সামনে দিয়ে মাটির কাঁচা রাস্তা ছিল। এখন সেখানে চওড়া পিচের রাস্তা, আগে পায়ে হেঁটে ছিল মানুষের চলাচল, এখন সমানে ছুটে যায় নানা ধরনের গাড়ি। খুব ভালো লাগে শাখায় শাখায় যখন পাখিরা বাসা করে থাকে। ফল খায় আর কূজন করে। শীতকালে দুপুরে আর গরমকালে সন্ধ্যেবেলা সেখানে এসে বসত মধ্যবয়স্ক এবং বয়স্ক মানুষেরা। আমি উপভোগ করি এই মানুষগুলির সান্নিধ্য।

উপসংহারঃ- অনন্ত সময়ের পথ ধরে আমার টিকে থাকা, আমি তো আছি। কিন্তু চোখের সামনে একদিন যাদের দেখতাম তাদের অনেকেই নেই। সে মানুষগুলোকে রোজ আসতে দেখতাম তাদের ও কতজন তো চলে গেল শেষযাত্রায়। শুধু আমি আছি। যেন মহাকালের সাক্ষ্যবহন করে আমার এই টিঁকে থাকা।

Post a Comment