অষ্টম শ্রেণী পরিবেশ ও বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় - স্পর্শ ছাড়া ক্রিয়াশীল বল [ পৃষ্ঠা ১৭-২৮ ] | Class 8 WBBSE Science First Chapter - Active force without contact | Questions and Answers from textbook

অষ্টম শ্রেণীর পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রথম অধ্যায় - স্পর্শ ছাড়া ক্রিয়াশীল বল থেকে গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর পেতে এখানে ক্লিক করুন ।

অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ

প্রশ্নঃ কোন বলের প্রভাবে বৃষ্টি আকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে নেমে আসে?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে।

প্রশ্নঃ পৃথিবী সব বস্তুকেই _____ বল দিয়ে টানে।
উত্তরঃ অভিকর্ষ।

প্রশ্নঃ মহাকর্ষ টানকে কাজে লাগিয়ে কোন যন্ত্র তৈরি করা হয়েছে?
উত্তরঃ স্প্রিং তুলা যন্ত্র।

প্রশ্নঃ কোন যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ওজন বা ভার মাপা হয়?
উত্তরঃ স্প্রিং তুলা যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ওজন বা ভার মাপা হয়।

প্রশ্নঃ অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ বল কি আলাদা?
উত্তরঃ না, অভিকর্ষ ও মহাকর্ষ বল আলাদা নয়।

প্রশ্নঃ অভিকর্ষ একটি _____ বল।
উত্তরঃ মহাকর্ষ।

প্রশ্নঃ অভিকর্ষ বলের সংজ্ঞা দাও।
উত্তরঃ পৃথিবী ও পৃথিবীর আশেপাশে থাকা অন্য কোন বস্তুর মধ্যে যে মহাকর্ষ বল ক্রিয়া করে তারই নাম অভিকর্ষ।

প্রশ্নঃ মহাকর্ষ বলের মান পরিমাপক গাণিতিক সূত্রটি লেখ।
উত্তরঃ `F=G.\frac{m_1\times m_2}{d_2}` [এখানে, F= মহাকর্ষ বল, `m_1` ও `m_2` বস্তুর ভর, d= বস্তুকণা দুটির মধ্যে সরলরেখা বরাবর দূরত্ব।]

প্রশ্নঃ সার্বজনীন মহাকর্ষ ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তরঃ মহাকর্ষ সূত্রের গাণিতিক সমীকরণ, `F=G.\frac{m_1\times m_2}{d_2}` এ ব্যবহৃত ধ্রুবক G কে সার্বজনীন মহাকর্ষ ধ্রুবক বলে।

প্রশ্নঃ G কে সার্বজনীন মহাকর্ষ ধ্রুবক বলে কেন?
উত্তরঃ G কে সার্বজনীন মহাকর্ষ ধ্রুবক বলে কারণ, G এর মান এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে সব জায়গায় একই থাকে। বস্তু দুটির মাঝে কি মাধ্যম আছে তার উপর নির্ভর করে না।

প্রশ্নঃ এস আই পদ্ধতিতে G এর একক কি?
উত্তরঃ এস আই পদ্ধতিতে G এর একক নিউটন বর্গমিটার প্রতি বর্গ কেজি বা `\frac{N\times m^2}{kg^2}` ।

প্রশ্নঃ এস আই পদ্ধতিতে G এর মান কত?
উত্তরঃ এস আই পদ্ধতিতে G এর মান `\frac{6.67}{10^{11}}\frac{Nm^2}{kg^2}`

প্রশ্নঃ পৃথিবীর মুক্তিবেগ কত?
উত্তরঃ পৃথিবীর মুক্তিবেগ 11.2 কিমি/সেকেন্ড।

প্রশ্নঃ নূন্যতম কত বেগে কোন বস্তুকে পৃথিবী থেকে চলে গেলে তা পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তির বাইরে চলে যাবে?
উত্তরঃ 11.2 কিমি/সেকেন্ড বেগে।

প্রশ্নঃ মহাকর্ষ বল কি কখনো শূন্য হতে পারে?
উত্তরঃ না মহাকর্ষ বল শূন্য হতে পারে না। অর্থাৎ যে কোন বস্তুর মহাকর্ষীয় প্রভাব অসীম দূরত্ব পর্যন্ত বহাল থাকে।

প্রশ্নঃ সমান ভরের দুটি বস্তু কণার একটিকে অপরিবর্তিত রেখে অপরটি ও গুণ করা হলো এবং তাদের মধ্যে দূরত্ব পূর্বের 5 গুণ করা হলো তাদের মধ্যে ক্রিয়াশীল মহাকর্ষ বল পূর্বের কত গুণ হলো?
উত্তরঃ আমরা জানি মধ্যাকর্ষণ বল ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতিক। তাই বস্তুকণা দুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল মধ্যাকর্ষণ বল পূর্বের 3/ 5^2 গুণ = 3/25 হবে।

প্রশ্নঃ 1 কেজি ভরের দুটি বস্তু পৃথিবীর উপর পাশাপাশি রাখলেও মহাকর্ষ বলের প্রভাবে তারা পরস্পরের কাছে যায় না কেন?
উত্তরঃ পৃথিবীপৃষ্ঠে থাকা এক কেজি ভরের দুটি বস্তুকে পৃথিবী যে পরিমাণ বল দিয়ে টানে, তার তুলনায় ঐ বস্তু দুটোর মধ্যে ক্রিয়াশীল পারস্পরিক আকর্ষণ বল এতটাই নগণ্য যে তার কোনো প্রভাব বাস্তবে বোঝা যায় না।

অভিকর্ষ ও মহাকর্ষের প্রভাবে গতি

প্রশ্নঃ ওজন =_____ × ভর।
উত্তরঃ অভিকর্ষজ ত্বরণ।

প্রশ্নঃ অভিকর্ষজ ত্বরণ কাকে বলে?
উত্তরঃ অভিকর্ষ বলের প্রভাবে অবাধে পতনশীল কোনো বস্তুর যে ত্বরণ সৃষ্টি হয় তাকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলে।

প্রশ্নঃ এস আই পদ্ধতিতে g এর গড় মান কত?
উত্তরঃ এস আই পদ্ধতিতে g এর গড় মান 9.৪ মিটার/সেকেন্ড

প্রশ্নঃ একক ভরের বস্তুর ওপর প্রযুক্ত অভিকর্ষ বল ও অভিকর্ষজ ত্বরণের মান এর তফাৎ কত?
উত্তরঃ শূন্য।
অর্থাৎ একক ভরের বস্তুর উপর অভিকর্ষ বলের মান ও অভিকর্ষজ ত্বরণের মান সমান।

প্রশ্নঃ কোন বস্তুর ভর 3 কেজি হলে তার ওজন কত?
উত্তরঃ কোন বস্তুর ভর 3 কেজি হলে তার ওজন 3×9.8 নিউটন = 29.4 নিউটন।

প্রশ্নঃ ওজনের এস আই পদ্ধতিতে একক কি?
উত্তরঃ ওজনের এস আই পদ্ধতিতে একক নিউটন।

প্রশ্নঃ ওজনের সিজিএস পদ্ধতিতে একক কি?
উত্তরঃ ওজনের সিজিএস পদ্ধতিতে একক ডাইন।

প্রশ্নঃ কে সর্বপ্রথম প্রমাণ করেন যে হালকা ও ভারী সব বস্তুকেই একাত্মতা থেকে ফেললে একই সাথে মাটি স্পর্শ করবে?
উত্তরঃ বিজ্ঞানী গ্যালিলিও।

প্রশ্নঃ স্থির অবস্থান থেকে বাধাহীনভাবে পতনশীল বস্তুর ক্ষেত্রে গ্যালিলিওর সূত্র তিনটি লেখ।
উত্তরঃ অবাধে পতনশীল বস্তুর ক্ষেত্রে সূত্র তিনটি হলো:
(i) একই উচ্চতা ও স্থির অবস্থা থেকে অবাধে পতনশীল বস্তু সমান দ্রুততায় নিচে নামে।
(ii) সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনশীল বস্তুর বেগও বাড়ে।
(iii) সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পতনশীল বস্তুর অতিক্রান্ত দূরত্বও বাড়ে।

স্থির তড়িৎ বল ও আধানের ধারণা

প্রশ্নঃ কে সর্বপ্রথম তড়িৎ এর প্রকৃতি সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা দেন?
উত্তরঃ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন।

প্রশ্নঃ ঘর্ষণজাত তড়িৎ বা আধান কাকে বলে?
উত্তরঃ ঘর্ষণের ফলে কোন বস্তুতে সৃষ্টি হওয়া তড়িৎ কে ঘর্ষণজাত তড়িৎ আধান বলে।

প্রশ্নঃ ভিন্ন জাতীয় তড়িৎ পরস্পরকে করে।
উত্তরঃ আকর্ষণ।

প্রশ্নঃ সমজাতীয় তড়িৎ পরস্পরকে করে।
উত্তরঃ বিকর্ষণ।

প্রশ্নঃ কুলম্বের সূত্রটি লেখ।
উত্তরঃ `F=K.\frac{q_1\times q_2}{r^2}` [এখানে `q_1` এবং `q_2` হল তড়িতাহিত বস্তু দুটির আধানের পরিমাণ, r হল তড়িতাহিত বস্তু দুটির মধ্যের দূরত্ব, এবং F হল বস্তু দুটির মধ্যে ক্রিয়াশীল তড়িৎ বল (তা, আকর্ষণীয় হোক বা বিকর্ষণীয় হোক) এর মান।

প্রশ্নঃ আধানের সিজিএস একক কি?
উত্তরঃ আধানের সিজিএস একক হল ই.এস.ইউ বা স্ট্যাটকুলম্ব।

প্রশ্নঃ আধানের এস আই একক কি?
উত্তরঃ আধানের এস আই একক হল কুলম্ব।

প্রশ্নঃ শূন্য মাধ্যমে K এর মান কত?
উত্তরঃ 9×10^9 নিউটন মিটার^2 / কুলম্ব^2

প্রশ্নঃ আমাদের চারপাশের বস্তুগুলি নিস্তড়িত হয় কেন? অথবা, পরমাণু নিস্তড়িত হয় কেন?
উত্তরঃ পরমাণুর মধ্যে ধনাত্মক আধানযুক্ত প্রোটন কণা ও ঋণাত্মক আধানযুক্ত ইলেকট্রন কণার পরিমাণ সমান থাকে। সমান পরিমাপের বিপরীত আধান পরস্পরকে প্রশমিত করায় পরমাণু নিস্তড়িত হয়। আর পরমাণু নিস্তড়িত হওয়ার জন্য পরমাণু দ্বারা গঠিত আমাদের চারপাশের বস্তুগুলিও নিস্তড়িত হয়।

প্রশ্নঃ একটি নিস্তড়িত বস্তুর কাছে একটি তড়িৎ গ্রস্ত বস্তু আনলে আকর্ষণ করে কেন?
উত্তরঃ একটি নিস্তড়িত বস্তুর কাছে একটি তড়িৎগ্রস্ত বস্তু আনলে, নিস্তড়িত বস্তুর যে অংশটি তড়িৎ গ্রস্ত বস্তুর কাছে থাকে সেখানে বিপরীত ধর্মী তড়িৎ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনাকে তড়িৎ আবেশ বলা হয়। এই কারণে তড়িৎ গ্রস্ত বস্তু নিস্তড়িত বস্তুকে আকর্ষণ করে।

প্রশ্নঃ শীতকালে প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে পটপট শব্দ হয় কেন?
উত্তরঃ শীতকালে প্লাস্টিকের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল ও প্লাস্টিকের চিরুনিতে বিপরীতধর্মী তড়িৎ সৃষ্টি হয়। এই তড়িৎ সৃষ্টি হওয়ার পরে পুনরায় আরেকবার আঁচড়াতে গেলে বিপরীতধর্মী তড়িৎ পরস্পরকে আকর্ষণ করে ও তড়িৎ স্ফুলিঙ্গের সৃষ্টি হয়, এই কারণেই পটপট শব্দ উৎপন্ন হয়।

তড়িৎ বলের প্রভাবে গতি

প্রশ্নঃ স্থির তড়িৎ বল কাকে বলে?
উত্তরঃ বিপরীত ধর্মী তড়িৎ আধান পরস্পরকে আকর্ষণ করে এবং সমধর্মী তড়িৎ পরস্পরকে বিকর্ষণ করে। এই প্রকার আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল দুটি কে স্থির তড়িৎ বল বলে।

প্রশ্নঃ পরমাণুর নিউক্লিয়াস আর ইলেকট্রনের মধ্যে কি ধরনের বল ক্রিয়া করে?
উত্তরঃ আকর্ষণ বল।

Post a Comment