সবার আমি ছাত্র অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর


সবার আমি ছাত্র
- সুনির্মল বসু
অনুশীলনী প্রশ্ন উত্তর
১) সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম লেখ
উত্তরঃ সুনির্মল বসুর লেখা দুটি বইয়ের নাম হল ‘হইচই’, ‘ছানাবড়া’।
২) তিনি ১৯৫৬ সালে কি পদক পেয়েছিলেন?
উত্তরঃ সুনির্মল বসু ১৯৫৬ সালে ভুবনেশ্বরী পদক পেয়েছিলেন।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির নিজের ভাষায় উত্তর লেখো:
৩.১) কবি কার উপদেশে দিলখোলা হন?
উত্তরঃ কবি খোলা মাঠের উপদেশে দিলখোলা হন।
৩.২) পাষাণ কবিকে কি শিক্ষা দিয়েছিল?
উত্তরঃ পাষাণ আপন কাজে কঠোর হতে কবিকে শিক্ষা দিয়েছিল।
৩.৩) কবি কার কাছ থেকে কি ভিক্ষা পেলেন?
উত্তরঃ শ্যাম বনানীর কাছ থেকে সরসতা ভিক্ষা পেলেন।
৩.৪) কে কবিকে মধুর কথা বলতে শেখালো?
উত্তরঃ কবিকে মধুর কথা বলতে শেখালো চাঁদ।
৩.৫) নদীর কাছ থেকে কি শিক্ষা পাওয়া যায়?
উত্তরঃ নদীর কাছ থেকে আপন বেগে চলার শিক্ষা পাওয়া যায়।
৪. সন্ধি করে লেখো:
১. রত্ন + আকর = রত্নাকর
২. মেঘ + আলোক = মেঘালোক
৩. কমলা + আসনা = কমলাসনা
৫. সমার্থক শব্দ লেখো:
১. চাঁদ = চন্দ্র, ইন্দু, বিধু, শশী
২. সূর্য = তপন, রবি, দিবাকর, ভানু
৩. পাহাড় = গিরি, শৈল, অচল
৪. বায়ু = বাতাস, পবন, হাওয়া
৫. নদী = নদ, প্রবাহিনী, তটিনী
৬. পৃথিবী = ভুবন, ধরা, জগৎ
৭. সাগর = সমুদ্র, সিন্ধু, রত্নাকর
৬. বাক্যরচনা করো:
উদার = রাজামশাই উদার প্রকৃতির মানুষ।
মহান = নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একজন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।
মন্ত্রণা = প্রধানমন্ত্রী রাজাকে রাজ্য চালানোর জন্য মন্ত্রণা দেন।
শিক্ষা = শিক্ষা মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে আসে।
সহিষ্ণুতা = জীবনে সাফল্য লাভ করতে গেলে সহিষ্ণুতা থাকার প্রয়োজন।
সন্দেহ = অহেতুক সন্দেহ করলে বন্ধু নষ্ট হয়।
কৌতুহল = শিশুর মনে সব সময় কৌতুহল হয়।
ঝরনা = পাহাড়ে অনেক ঝরনা দেখা যায়।
৭. বিশেষণ শব্দগুলির বিশেষ্য রূপ লেখো:
১. কর্মী - কর্ম
২. মৌন - মৌনতা
৩. মধুর - মধু
৪. কঠোর - কঠোরতা
৫. বিরাট - বিশালতা
৮. বিশেষ্য শব্দগুলির বিশেষণ রূপ লেখো:
১. শিক্ষা - শিক্ষিত
২. মন্ত্র - মন্ত্রণা
৩. বায়ু - বায়বীয়
৪. মাঠ - মেঠো
৫. তেজ - তেজি
৯. কবিতা থেকে সর্বনাম শব্দগুলি লেখো (অন্তত ৫টি):
উত্তরঃ সে, আমি, তাহার, আমায়, তার
১০. গদ্যরূপ লেখো:
১. আমি বায়ুর কাছে কর্মী হবার মন্ত্র পাই।
২. সূর্য আমায় আপন তেজে জ্বলার মন্ত্রণা দেয়।
৩. সাগর তার ইঙ্গিতে শিখায় যে অন্তর রত্নাকর হোক।
৪. শ্যাম বনানী সরসতা আমায় ভিক্ষা দিল।
৫. কৌতুহলী সেসব শিখছি, সন্দেহ মাত্র নাই।
১১. ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা’ বলতে কবিতায় কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তরঃ বিশাল এই পৃথিবীতে কত কিছুই না রয়েছে শেখার মতো। প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান থেকে আমরা কিছু না কিছু শিখতে পারি। ঠিক যেমন পাঠশালায় শেখা যায়, তেমনিভাবে প্রকৃতি কবির কাছে শিক্ষালয়। তাই কবির চোখে সারা বিশ্বই একটি পাঠশালা।
১২. প্রকৃতির কার কাছ থেকে কী রূপ শিক্ষা পেতে পারি?
আকাশ – উদার হবার শিক্ষা
বাতাস – কর্মী হবার মন্ত্র
পাহাড় – মৌনতা ও মহানতা
সূর্য – নিজের শক্তিতে জ্বলে ওঠা
খোলা মাঠ – দিলখোলা হওয়ার শিক্ষা
চন্দ্র – মিষ্টি হাসি ও মধুর কথা
১৩. প্রকৃতির আরও কিছু উপাদানের শিক্ষা:
তৃণ বা ঘাস – নম্রতা ও বিনয় রক্ষা করেও নিজেকে সম্মানিত রাখা যায়।
ফুল – নিজ গুণ সমভাবে সকলের মধ্যে বিলিয়ে দিতে শেখায়।
১৪. এমন একজন মানুষের কথা যার কাছ থেকে অহরহ অনেক কিছু শেখো:
উত্তরঃ আমার নিজের মা সেই মানুষ, যার কাছ থেকে আমি প্রতিদিন কিছু না কিছু শিখি। তিনি আমার জীবনের প্রেরণা। মা আমাকে জীবনসংগ্রামে সাহস ও শক্তি দেন এবং শেখান কীভাবে মাথা উঁচু করে চলতে হয়।