MCQ (বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্ন)
- মেঘ কোথায় উচ্চনাদে ডাকে?(A) অট্টালিকা পরে
(B) কলিঙ্গে
(C) গুজরাটে
(D) গগনমণ্ডলেউত্তরঃ (D) গগনমণ্ডলে।
- কোন মাসে তাল পড়ে?(A) বৈশাখ মাসে
(B) আষাঢ় মাসে
(C) আশ্বিন মাসে
(D) ভাদ্র মাসেউত্তরঃ (D) ভাদ্র মাসে।
- কী উলটিয়া পড়ে?(A) শস্য
(B) পাথরের মূর্তি
(C) গাছপালা
(D) ঘরবাড়িউত্তরঃ (A) শস্য
- মঠ অট্টালিকা খানখান করে কে ভেঙে দেয়?(A) চণ্ডী
(B) গজরাজ
(C) প্রবল ঝড়
(D) হনুমানউত্তরঃ (D) হনুমান
- কেন অন্ধকার হয়েছে?(A) গ্রহণ লেগেছে
(B) সূর্য ডুবে গেছে
(C) মেঘে ঢেকে গেছে বলে
(D) রাত্রি হয়েছেউত্তরঃ (C) মেঘে ঢেকে গেছে বলে।
- কলিঙ্গদেশে কতদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছে?(A) দুইদিন
(B) সাত দিন
(C) চার দিন
(D) দশ দিনউত্তরঃ (B) সাত দিন
- চণ্ডীর আদেশ কে পেয়েছে?(A) কলিঙ্গ বাসীরা
(B) গুজরাট বাসীরা
(C) বীর হনুমান
(D) জৈমিনিউত্তরঃ (C) বীর হনুমান
- ‘সঘনে চিকুর পড়ে’- “চিকুর” শব্দের অর্থ কী?(A) নারকেল
(B) তাল
(C) বাজ
(D) বিদ্যুৎউত্তরঃ (D) বিদ্যুৎ
- ‘ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর’—(A) বরিষণ
(B) জলদ
(C) মেঘ
(D) চিকুরউত্তরঃ (D) চিকুর
- চাল ভেদিয়া কী পড়ছে?(A) তাল
(B) ডাব
(C) বরফ
(D) শিলাউত্তরঃ (D) শিলা
- অম্বিকা মঙ্গল গান কে গেয়েছেন?(A) নদ-নদী
(B) বীর হনুমান
(C) চণ্ডী
(D) শ্রীকবিকঙ্কণউত্তরঃ (D) শ্রীকবিকঙ্কণ
- চারি মেঘে বরিষে মুষলধারে জল। – এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-(A) চার রকমের মেঘ মুষলধারে জল বর্ষণ করছে
(B) চারদিক থেকে মেঘ জল বর্ষণ করছে
(C) চারি মেঘ নামক মুষলধারে জল বর্ষণ করছে
(D) কোনোটিই নয়উত্তরঃ (A) চার রকমের মেঘ মুষলধারে জল বর্ষণ করছে।
- “না পাই দেখিতে কেহ রবির কিরণ।” এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-(A) সূর্য ডুবে যাওয়ায় কেউ আর রবির কিরণ দেখিতে পায় না।
(B) ঘন মেঘ আকাশ ঢেকে যাওয়ায় সূর্যের আলো কেউ দেখিতে পায় না।
(C) সূর্য গ্রহণ হওয়ার ফলে রবির কিরণ দেখা যায় না।
(D) কোনটি নয়উত্তরঃ (B) ঘন মেঘ আকাশ ঢেকে যাওয়ায় সূর্যের আলো কেউ দেখিতে পায় না।
- “ দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার” – এখানে যে ভাবনাটি প্রকাশ পেয়েছে, তা হল-(A) মেঘ করার জন্য চারদিক অন্ধকার হওয়ায় কেহ কাহারও অঙ্গ দেখিতে পায় না।
(B) সূর্য ডুবে যাওয়ার জন্য কেহ কাহারও অঙ্গ দেখিতে পায় না।
(C) সন্ধ্যা হয়ে যাবার জন্য কেহ কাহারও অঙ্গ দেখিতে পায় না।
(D) কোনোটিই নয়।উত্তরঃ (A) মেঘ করার জন্য চারদিক অন্ধকার হওয়ায় কেহ কাহারও অঙ্গ দেখিতে পায় না।
অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর
- জৈমিনিকে কখন তারা স্মরণ করে?উত্তরঃ কলিঙ্গ দেশে যখন প্রবল ঝড় বৃষ্টি শুরু হয় তখন বারবার বাজ পড়তে থাকে। সেই সময় ভীত কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে।
- ‘না পারে দেখিতে কেহ রবির কিরণ’- রবির কিরণ দেখিতে না পাওয়ার কারণ কী?উত্তরঃ কলিঙ্গ দেশে সাতদিন ধরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হয়, কালো মেঘে সমস্ত আকাশ ঢেকে থাকে। তাই কলিঙ্গবাসী রবির কিরণ দেখিতে পায়নি।
- কলিঙ্গদেশে কখন অন্ধকার নেমে আসে?উত্তরঃ যখন কলিঙ্গের সমগ্র আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়, তখন কলিঙ্গে অন্ধকার নেমে আসে।
- ‘চারি মেঘ’ বলিতে কী বোঝায়?উত্তরঃ সংবর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ হল চার প্রকার মেঘ।
- ‘রড়’ কী ধরনের শব্দ?উত্তরঃ ‘রড়’ শব্দটি একটি প্রচলিত লৌকিক শব্দ, যার অর্থ দৌড়ে পালানো।
- ঝড়ে শস্যক্ষেতের কী দশা হয়?উত্তরঃ ঝড়ে শস্যের গাছগুলি সব উলটে পড়ে।
- মেঘের গর্জনের ফলে প্রজাদের কী অবস্থা হয়?উত্তরঃ মেঘের গর্জনের ফলে প্রজারা কেউ কারও কোনো কথা শুনিতে পারছিল না।
- কলিঙ্গে নিরবধি কতদিন ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে?উত্তরঃ কলিঙ্গে একটানা সাত দিন বৃষ্টি হয়েছিল।
- চণ্ডীর আদেশে হনুমান কী করছিল?উত্তরঃ চণ্ডীর আদেশে হনুমান মঠ অট্টালিকা ভেঙে খানখান করছিল।
- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি কার লেখা, কোন কাব্যের অন্তর্গত?উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি মধ্যযুগের কবি মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত ‘অম্বিকামঙ্গল’ (বা চণ্ডীমঙ্গল) কাব্যের অন্তর্গত।
- মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির ক-টি খণ্ড ও কী কী?উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যটির দুইটি খণ্ড, যথা— আখেটিক খণ্ড এবং বণিক খণ্ড।
- ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের কোন খণ্ডের অন্তর্গত?উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশটি চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত।
- মেঘ ঝড়বৃষ্টির থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী কার কথা স্মরণ করেছেন? অথবা, কলিঙ্গবাসী জৈমিনিকে স্মরণ করে কেন?উত্তরঃ মেঘ, ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কলিঙ্গবাসী ঋষি জৈমিনির কথা স্মরণ করেছেন।
- গর্ত ছেড়ে কারা জলে ভেসে বেড়াচ্ছে?উত্তরঃ প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কলিঙ্গদেশ জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় গর্ত ছেড়ে সাপ জলে ভেসে বেড়াচ্ছে।
প্রশ্নমান – ৩
- “চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।” – উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। / “চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।”—অষ্ট গজ কে কে? কোন প্রসঙ্গে অষ্ট গজরাজের কথা এসেছে?উত্তরঃ উদ্ধৃত লাইনটি ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে চারি মেঘ হল সংবর্ত, আবর্ত, পুষ্কর ও দ্রোণ। অষ্ট গজরাজ বলিতে আটটি হাতির কথা বলা হয়েছে। এই হাতিগুলি হল- ঐরাবত, পুণ্ডরীক, বামন, কুমুদ, অঞ্জন, পুষ্পদন্ত, সার্বভৌম ও সুপ্রতীক। কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কবিতায় দেবী চণ্ডীর নির্দেশে কলিঙ্গদেশে প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসে। ঘন কালো মেঘে আকাশ ঢেকে যায়। প্রবল মেঘগর্জনে প্রজারা চিন্তিত হয়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে তারা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। সবুজ শস্যের খেত ধূলায় ঢেকে যায়। বৃষ্টি এতটাই তীব্র হয় যে কবি মনে করেন, আটটি দিকের পাহারাদার আটটি হাতি- যেন তাদের শুঁড়ের সাহায্যে চারি মেঘে জল দিচ্ছে। আর তার ফলেই প্রবল বৃষ্টিপাতে চারপাশ জলে ডুবে গেছে।
- “কলিঙ্গে সঙরে সবে লোক যে জৈমিনি।” – জৈমিনি কে? কলিঙ্গবাসীর জৈমিনিকে স্মরণের কারণ কী?উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশে উল্লিখিত জৈমিনি হলেন এক বাক্সিদ্ধ ঋষি। এনার নাম স্মরণ করলে বজ্রপাত বন্ধ হয়ে যায় এই বিশ্বাসে বজ্রপাতের সময় মানুষ এঁর নামকীর্তন করে। কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ ঘন কালো মেঘ জমে ওঠে। আকাশভাঙা মেঘ থেকে বৃষ্টি নামে মুষলধারায়। মেঘের গম্ভীর গর্জন, ঘনঘন বজ্রপাত, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডবে ভীত কলিঙ্গবাসী এই ভীষণ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার আশায় ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে।
- “না পায় দেখিতে কেহ রবির কিরণ।” – কারা, কেন রবির কিরণ দেখিতে পায়নি?উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশটিতে ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলিঙ্গবাসীর কথা বলা হয়েছে। কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎই প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলকে সমগ্র কলিঙ্গদেশ কেঁপে ওঠে। গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। কালো মেঘে চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাওয়ায় দিনরাত্রির পার্থক্যও বোঝা সম্ভব হয় না কলিঙ্গবাসীর। সাত দিন একটানা প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে তারা সূর্যের আলো দেখিতে পায় না।
- “দেখিতে না পায় কেহ অঙ্গ আপনার।” – কাহারও অঙ্গ দেখিতে না পাওয়ার কারণ কী?উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কবিতায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উল্লেখ করা হয়েছে। হঠাৎই কলিঙ্গদেশে ভয়ঙ্কর প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দেয়। আকাশ ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায়। ফলে সমগ্র কলিঙ্গদেশ অন্ধকারে ঢেকে যায়। কালো মেঘের বুক চিরে ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। অন্ধকার এতটাই ঘন হয়ে ওঠে যে, তা ভেদ করে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না।
- “ঈশানে উড়িল মেঘ সঘনে চিকুর।” – উদ্ধৃতাংশটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো।উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় আকস্মিক প্রাকৃতিক বিপর্যয় শুরু হয়। তৈরি হয় বন্যার প্রবল আশঙ্কা। ঝড়বৃষ্টি কলিঙ্গদেশে সর্বনাশ ডেকে আনে। উদ্ধৃতাংশটিতে সেই ভয়াবহ বিপর্যয়ের বর্ণনা করা হয়েছে। কলিঙ্গদেশে আকাশের উত্তর-পূর্ব অর্থাৎ ঈশান কোণে মেঘের ঘনঘটায় চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। প্রজারা সেই অন্ধকারে নিজেদেরকেও দেখিতে পাচ্ছে না। মেঘের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুতের ঝলকানি পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তোলে।
- “প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রজাদের বিষাদের কারণ আলোচনা করো।উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড় বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতিটিতে কলিঙ্গদেশের প্রজাদের কথা বলা হয়েছে। কলিঙ্গদেশের আকাশে হঠাৎ প্রচুর মেঘ জমাট বাঁধে। ঈশান কোণে জমাটবাঁধা মেঘ সারা আকাশ ঢেকে ফেললে সর্বত্র অন্ধকার নেমে আসে। উত্তরের প্রবল বাতাসে দূর থেকে মেঘের গম্ভীর আওয়াজ ভেসে আসে। মেঘের প্রবল গর্জন ও ঘনঘন বিদ্যুৎচমকের সঙ্গে শুরু হয় প্রবল বৃষ্টিপাত। মহাপ্লাবনের আশঙ্কায় প্রজারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
- “বিপাকে ভবন ছাড়ি প্রজা দিল রড়।’” – ‘রড়’ শব্দের অর্থ কী? কোথাকার প্রজারা কী কারণে বিপাকে পড়েছিল?উত্তরঃ ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কাব্যাংশ থেকে নেওয়া উদ্ধৃতাংশে উল্লিখিত ‘রড়’ শব্দের অর্থ পালিয়ে যাওয়া। দেবী চণ্ডীর ইচ্ছা অনুযায়ী কলিঙ্গদেশে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বিপর্যয় ডেকে আনে। আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায়। ঘন অন্ধকারে প্রজাদের নিজেদের চেহারা পর্যন্ত দেখার উপায় থাকে না। প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গম্ভীর গর্জন ও ঝড়ের তাণ্ডবে সেখানের প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
- “পরিচ্ছিন্ন নাহি সন্ধ্যা দিবস রজনী।” – ‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দের অর্থ কী? কবি এরকম বলেছেন কেন?উত্তরঃ কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কবিতায় পাওয়া ‘পরিচ্ছিন্ন’ শব্দটির অর্থ হল ‘বিভেদ’ বা ‘পার্থক্য’। দেবীচণ্ডীর ইচ্ছায় কলিঙ্গদেশে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়। সমগ্র আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। বিদ্যুৎচমক আর মেঘগর্জনের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। প্রজারা ভয় পেয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। সবুজ শস্যের খেত ধূলায় ঢেকে যায়। প্রবল বৃষ্টিতে জলে ডুবে যায় চারপাশ। জল-স্থল একাকার হয়ে পথ হারিয়ে যায়। মেঘের গর্জনে কেউ কাহারও কথা শুনতে পায় না। অন্ধকার এতটাই নিবিড় হয়ে যায় যে দিন এবং রাত্রিকে কেউ আলাদা করতে পারে না।
রচনাধর্মী প্রশ্ন-উত্তর
- ‘প্রলয় গণিয়া প্রজা ভাবয়ে বিষাদ।’— কী দেখে প্রজাদের প্রলয় মনে হয়েছে? এই প্রলয়ের ফলে কী হয়েছে? ১+৪উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তীর লেখা ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ নামক কাব্যাংশে কলিঙ্গদেশের আকাশ মেঘে ঢেকে যায়। উত্তর-পূর্ব কোণে মেঘের সঙ্গে দেখা দেয় বজ্রবিদ্যুৎ। চারদিকে মুষলধারায় বৃষ্টি শুরু হয়। এইসব দেখেই প্রজাদের মনে প্রলয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়।
কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর আওয়াজের সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বারিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বৃষ্টিতে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘোর অন্ধকারে দিনরাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাত দিন ধরে একটানা বৃষ্টির ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড় আকারের শিলা ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গ নগরের দিকে ছুটে আসে। পর্বতের মতো উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়িঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় অবশেষে কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়। - ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়বৃষ্টি’ কবিতায় প্রকাশিত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের চিত্র কতটা বাস্তবতার সঙ্গে চিত্রিত হয়েছে আলোচনা করো।
অথবা, ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় কলিঙ্গে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে তা কীভাবে কলিঙ্গবাসীর জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছে বুঝিয়ে দাও।
অথবা, ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কবিতায় কলিঙ্গে যে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও।উত্তরঃ মুকুন্দ চক্রবর্তী রচিত চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আখেটিক খণ্ডের অন্তর্গত ‘কলিঙ্গদেশে ঝড়-বৃষ্টি’ কাব্যাংশে দেবী চণ্ডী তাঁর কৃপাধন্য ব্যাধ কালকেতুর তৈরি গুজরাট নগরে বসতি প্রতিষ্ঠার জন্য কলিঙ্গদেশে প্লাবন ঘটান।
কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণে মেঘ জমা হয়। ঘনঘন বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা যায়। দূরদিগন্তে মেঘের গম্ভীর ধ্বনির সঙ্গে শুরু হয় মুষলধারায় বৃষ্টি। বিপদের আশঙ্কায় প্রজারা ঘর ছেড়ে দ্রুত পালাতে থাকে। ঝড়ের দাপটে শস্যখেত এবং সবুজ গাছপালা নষ্ট হয়ে যায়। আটটি দিকের আটটি হাতি যেন বারিধারায় সব ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চায়। প্রবল বর্ষণে পথঘাট জলে ডুবে যায়। ঘোর অন্ধকারে দিন রাত্রির পার্থক্য মুছে যায়। জলমগ্ন রাস্তায় সাপ ভেসে বেড়াতে থাকে। ভীত প্রজারা এই ভয়াবহ দুর্যোগ থেকে নিস্তার পেতে ঋষি জৈমিনিকে স্মরণ করতে থাকে। সাত দিন ধরে অবিরাম বর্ষণের ফলে কৃষিকাজ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, ঘরবাড়িও নষ্ট হয়ে যায়। ভাদ্র মাসের তালের মতো বড় আকারের শিলা ঘরের চাল ভেদ করে পড়তে থাকে। দেবীর আদেশে সমস্ত নদনদী কলিঙ্গের দিকে ছুটে আসে। দেবীর আদেশে পর্বতের মতো উঁচু ঢেউয়ের আঘাতে বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়ে। দেবী চণ্ডীর আদেশে সৃষ্ট এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে অসহায়, ভীত প্রজারা বিপদের আশঙ্কায় শেষ পর্যন্ত কলিঙ্গ ত্যাগ করে চলে যায়।
